এশিয়া মহাদেশের বৃহত্তম পেয়ারা (Guava) বাগান গড়ে উঠেছে তিন জেলা ঝালকাঠি, বরিশাল এবং পিরোজপুরের সিমান্তবর্তী এলাকায়। ঝালকাঠি জেলার ৫৬২ হেক্টর এলাকাজুড়ে গড়ে উঠেছে এই বাগান। পেয়ারা চাষের সাথে এই জেলার প্রায় ১৫৩০ জন কৃষক জড়িত এবং বার্ষিক পেয়ারা উৎপাদন ৬৩৫৫ মেঃ টন।
বছরের জুলাই, আগস্ট,সেপ্টেম্বর পেয়ারার মৌসুম
ঝালকাঠির ভিমরুলিতে জমে ওঠে সবচেয়ে বড় ভাসমান পেয়ারা বাজার
চাষিরা সরাসরি বাগান থেকে পেয়ারা এনে বিভিন্ন অঞ্চলের পাইকারদের কাছে বিক্রি করেন
আরো জানুনঝালকাঠি জেলায় ১৫০০ পেয়ারা চাষিদের প্রশিক্ষনের অংশহিসেবে বিগত ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখ প্রশিক্ষণ ও ভিমরুলি বাজার এর ডিজিটাল উদ্যোগ নিয়ে অবহিত করণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়
বরিশাল-ঝালকাঠি-পিরোজপুর জেলার সীমান্তবর্তী কিছু এলাকা নিয়ে ঐতিহ্যবাহী পেয়ারার বাগান। আটঘর, কুড়িয়ানা, ডুমুরিয়া, বেতরা, ডালুহার, সদর এলাকার প্রায় ২৪ হাজার একর জমিতে পেয়ারার চাষ হয়। এখন আমড়া বাগানও করছেন অনেকে। মাঝেমধ্যে সুপারি বাগান।
আপনার যাত্রা পথে অভিজ্ঞতা নিন অন্য রকমের কিছুর
ভিমরুলির শতবর্ষী পেয়ারা বাগান ভ্রমণে এসে বাগানের অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সত্যিই আমাকে মুগ্ধ করেছে। এক নিমিষেই এর নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ভ্রমণপিপাসুদের মনে প্রশান্তির শীতল ছায়া বয়ে আনবে। ঝালকাঠি জেলার প্রায় ৫৬২ হেক্টর এলাকাজুড়ে গড়ে উঠেছে এই বাগান। পেয়ারা চাষের সাথে এই জেলার প্রায় ১৫৩০ জন কৃষক জড়িত এবং বার্ষিক পেয়ারা উৎপাদন প্রায় ৬৩৫৫ মেঃ টন। চাইলেই যে কেউ দেশের যেকোন প্রান্ত থেকে বাস, লঞ্চ কিংবা প্রাইভেটকারে অনায়াসে চলে আসতে পারে দেশের ভিন্ন প্রকৃতির এই অপরূপ প্রাকৃতিক নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে। পেয়ারা বাগানে ব্যাকওয়াটারে খালের সাথে লাগোয়া ঘরবাড়ি, ব্রিজ ও রাস্তার সম্মোহনী রূপ মুগ্ধ করবে সকলকে। খালের মধ্যে চলার সময় চাইলেই হাত বাড়িয়ে ধরা যায় পেয়ারা, আমড়া বা লেবু। যদি বৃষ্টি হয় তবে চারপাশটা অপার্থিব সৌন্দর্যে মোহনীয় হয়ে উঠে। সরু খালে সারি সারি ভাসমান সবুজ সতেজ পেয়ারা ভর্তি নৌকা আর দুই তীরের প্রাকৃতিক মনভোলা সৌন্দর্য মুগ্ধ করবে যে কাউকে। “পর্যটনের বিকাশ গড়ি, প্রযুক্তির সহায়তায় পণ্য বিপণন করি” শ্লোগানকে সামনে রেখে জেলা প্রশাসন ঝালকাঠি বিভিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সকল সুবিধা সম্বলিত ওয়েবসাইট তৈরির মাধ্যমে ভ্রমণপিপাসু পর্যটকদের নিকট ভাসমান বাজার ও বাগানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যসহ সকল সুবিধাসমূহ তুলে ধরা হয়েছে যাতে পর্যটকরা সহজেই এই অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারে। একই সাথে জেলায় উৎপাদিত সকল ব্রান্ডিং পন্য নিয়ে ব্রান্ডসপ তৈরি সহ নানাবিধ কাজ করে যাচ্ছে জেলা প্রশাসন। এটি একদিকে যেমন পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটাবে অন্যদিকে পেয়ারাচাষীসহ অন্যান্য সকল স্থানীয় জনগন উপকৃত হবে। বদলে যাবে তাদের ভাগ্যের চাকা, আর্থিকভাবে লাভবান হবে দেশ। জেলা প্রশাসক হিসেবে আমি সকলকে অনুরোধ করছি, প্রকৃতির মায়ায় ভরা, প্রশান্তির সুনিবিড় ছায়ায় ঘেরা, মনভোলানো অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এসে উপভোগ করার জন্য। আপনাদের সকল সেবায় আমরা প্রস্তুত।